বগুড়া শেরপুরে ট্রাক চাপায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৪ জন নিহত

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপু‌রে ট্রাক চাপায় সিএন‌জি‌ চালিত অটোরিকশার যাত্রী একই পরিবা‌রের তিনজ‌ন ও সিএনজি চালক সহ মোট ৪ জ‌নে‌র মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে আরো দুই জন হাসপাতালে ভর্তি।
বৃহস্প‌তিবার সন্ধ‌্যা ৭ :৪৫ মিনিটে শেরপুর উপ‌জেলার শাহব‌ন্দেগী ইউনিয়‌নের ধড়‌মোকাম এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়‌কে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনা‌ ঘ‌টে।
নিহতরা হ‌লেন, সিরাগ‌ঞ্জের রায়গঞ্জ উপ‌জেলার বান্ধাইল গ্রা‌মের ওলিউজ্জামা‌নের ছে‌লে আরিফুল ইসলাম (৩৩), আরিফু‌লের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৬) ও ছে‌লে সাইফুল ইসলাম (০৪) ও সিএসজি ড্রাইভার সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ থানার নাসিম হোসেন (২৮), পিতা পরবত শেখ। আহতরা হ‌লেন, শেরপু‌রের গোলাম (৪৮) ও কাওছার আলী। তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জানা গেছে , সিএন‌জি চালিত অটোরিকশা‌টি সিরাজগঞ্জ থে‌কে যাত্রী নি‌য়ে শেরপু‌রের দিকে আস‌ছি‌লো। চলন্ত অবস্থায় ধড়মোকাম এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদেরকে সাম‌নে থে‌কে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুম‌ড়ে মুচ‌ড়ে যায়। প‌রে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সা‌র্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে তা‌দের উদ্ধা‌রের চেষ্টা ক‌রে। এ সময় অটোরিকশার তিন যাত্রীসহ চালকও নিহত হন। আহত হন আরো দুইজন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার দা‌য়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ (এসআই) আবুল হা‌শেম জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থ‌লেই চারজন মারা গে‌ছেন। আইনগত প্রক্রিয়া শে‌ষে লাশ নিহত‌দের প‌রিবা‌রের কা‌ছে হস্তান্ত‌র করা হ‌বে। দুর্ঘটনার শিকার ট্রাক ও সিএন‌জি চালিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে ।




দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা’র অনশন

গোকুল চন্দ্র রায় বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকাকে অনশনে দেখা গেছে।

বুধবার ১০ জুলাই’২০২৪ দুপুর ৩টা থেকে উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের শম্ভুগাঁও গ্রামের সন্তোষ চক্রবর্তির ছেলে প্রেমিক গৌতম চক্রবর্তী’র বাড়িতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা। জানা যায় ৮ বছর আগে একই কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় গৌতম চক্রবর্তী’র সঙ্গে দেখা ওই কলেজ ছাত্রীর (প্রেমিকা)’র। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিক গৌতমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় অনশন শুরু করেছে প্রেমিকা। এদিকে প্রেমিকা আসার পর গৌতম বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেছে। এলাকাবাসী ও গৌতমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর বলেন, ছেলের সঙ্গে কথা বলেই মেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।ইউপি সদস্যের সাথে ছেলের বাবা সন্তোষ চক্রবর্তী ও মামা নারায়ন গোস্বামিসহ অনেকে চরম দূর্ব্যবহার করেছে।কিন্তু কলেজ ছাত্রী আসার পর ছেলে পালিয়েছে যায়। অসহায় মেয়েটিকে ছেলের পরিবারের লোকজন নানাভাবে অপমান করেছে। মেয়েটি ছেলের বাড়িতেই রয়েছে, ছেলে-মেয়ে এরা দু’জনেই পুর্ন বয়স্ক, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক, বিয়েতে কোন বাধা নেই। সমঝোতা না হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে মেয়ে পক্ষ।

বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




বগুড়া শেরপুরে নারী কর্মীদের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
১০ জুলাই বুধবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা হলরুমে বিকেল বেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় পল্লী কর্মসস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী- ৩ (আরইআরএমপি-৩)শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নারী কর্মীদের সঞ্চয়কৃত অর্থের চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদীর সভাপতিত্বে উক্ত চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর ধুনটের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু। এসময় শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজামাল সিরাজি, সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রেজাউল করিম,উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নুরে আলম সানি, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার রহমান মিন্টুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




বানারীপাড়ায় ৬০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করে পুড়িয়েছে মৎস্য দপ্তর

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশার)প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় বন্দর বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনীর নেতৃত্বে বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের প্রায় ৬০ কেজি জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। অভিযানের সময় জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছের ৪/৫ জন অসাধু ব্যবসায়ী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপজেলা মেরিন ফিসারিজ অফিসার প্রতুল জোয়াদ্দার,বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক লেলিন চন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




বীরগঞ্জে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

গোকুল চন্দ্র রায় বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
১০ জুলাই’২০২৪ বুধবার বেলা ১১টা হতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন ঢেপা নদী হতে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ কথিত ইজারাদার তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।

তাদের দাবী দিনরাত অবৈধভাবে ড্রাম্প ট্রাকের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে বন্যার তোরে যে কোনো মুহূর্তে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পটি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে, আশ্রয়হীন হবে শত শত পরিবার।

তারা মানববন্ধন শেষে কথিত ঠিকাদার তোফাজ্জল হোসেনের বালুরঘাটের অস্থায়ী অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে, বালু নামিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে পাঁচটি বালু বোঝাই ড্রাম্প ট্রাক।
জনৈক রোজিনা সহ বিক্ষোভকারীরা জানান, তোফাজ্জল হোসেন ও তার ছেলে মুন্না তাদের সৃজনকৃত ইউক্লিপ্টার গাছের বিশাল বাগান আনুমানিক চার হাজারের অধিক গাছ বালুর সাথে কেটে বিনষ্ট করেছে, যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার ভূমি রাজকুমার বিশ্বাস, বীরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মইনুল ইসলাম, বেশ কয়েক জন পুলিশ অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন, জব্দ করা হয় নদীতে চলমান ৩ টি ড্রেজার মেশিন।

ইজারাদার পরিচয় দানকারী তোফাজ্জল হোসেন ও তার ছেলে মুন্না ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভকারীরা মারমুখি হয়ে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে, অবস্থা বেগতিক দেখা মুন্না দ্রুত পালিয়ে গেলেও তোফাজ্জল হোসেন কে মহিলারা লাঞ্ছিত করে।তাদের অভিযোগ তোফাজ্জল হোসেন ও মুন্না তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এবং মুল্যবান গাছের বাগান ধ্বংস করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে, তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না। আমরা জানতে চাই, তার খুটির জোর কোথায়?
তারা আরও জানান তোফজ্জল হোসেন ইজারাদার নয়, কেন না তিনি এখন পর্যন্ত ইজারামূল্য পরিশোধ করেন নাই, তাছাড়া ওই ইজারার মেয়াদ অনেক দিন পূর্বেই শেষ হয়েছে, বর্তমানে প্রশাসনের সাথে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ইজারাদার হিসাবে বহাল দেখাচ্ছেন।এটি মারাত্মক দূর্নীতি এবং এই সীমাহীন দূর্নীতির সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুরের কতিপয় অসাদু অফিসারেরা জড়িত।
আমরা এই অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছি।
পরিস্থিতি শান্ত করতে ও সামাল দিতে কৌশলে পুলিশি সহায়তায় তোফাজ্জল হোসেন কে স্থান ত্যাগে বাধ্য করা হয়।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট ৪৩ লাখ টাকার বিনিময় তাদের স্তুূপকৃত নদী খননের বালু ইজারা নিয়েছি কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতী ব্যক্তি ও চাঁদাবাজের কারণে বালু উত্তোলনে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে আজ তারা মানববন্ধনের নামে আমার তৈরি করা অস্থায়ী অফিস ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে টাকা পয়সা লুণ্ঠন করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে এলাহি’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন ও প্রতিবাদ মানববন্ধনের সংবাদ পেয়েছি, সেখানে
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা পুলিশ ইতিমধ্যেই অবস্থান নিয়েছে,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আশ্রয়ন প্রকল্পের ক্ষতি হয় এমন কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান করা হবে।




বানারীপাড়ায় টমটম গাড়ি চাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
বরিশালের-বানারীপাড়া সড়কের শিমুলতলা নামক স্থানে নিষিদ্ধ টমটম গাড়ি চাপায় সেলিনা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বরিশাল থেকে বানারীপাড়া উপজেলার মাদারকাঠি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী বাসে এসে শিমুলতলা নামক স্থানে নেমে রাস্তা পারাপারের সময় টমটম গাড়ির চাপায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। বুধবার সকাল ১০টায় খলিশাকোটা হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে মাদারকাঠি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি উপজেলার সলিয়াবাকপুর শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন রতন খানের স্ত্রী ও বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমনের চাচাতো ভাইয়ের শাশুড়ি। এদিকে তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে বইছে শোকের মাতম।




মাওলানা সালিকের নেতৃত্বে যুব জমিয়তের শতাধিক নেতা কর্মি দল থেকে পদত্যাগ

এম আর সজিব সুনামগঞ্জ থেকে :
৮ জুলাই সোমবার বাদ আসর ওয়েজখালীস্থ জমিয়তের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বর্তমান কমিটির সভাপতি, এরশাদ খান আল হাবীব সাধারণ সম্পাদক সালিক আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওয়েস আহমদ সহ জেলা কমিটি দায়িত্বশীল এবং তৃনমুল পর্যায়ের শতাধিক নেতা কর্মী গণপদত্যাগ করেন।
সাংবাদিকগন : গণপদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে জেলা সাধারণ সম্পাদক, সালিক আহমদ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে সালিক আহমদ জেলার সিনিয়র দায়িত্বশীলদের বিষয়ে বিভিন্ন
অনিয়ম স্বজন প্রীতি সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উপস্থাপন করেন। সম্পাদকের লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ নিম্ন রুপ।
১- আমাদের মুল সংগঠন জমিয়তেউলামায়ে ইসলাম, তারই অংঘ সংগঠন যুব জমিয়তের
জেলা মুরুব্বিদের তত্বাবধানেই চলে আসছিল দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমান
জেলা জমিয়ত সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহ কয়েকজন সিনিয়র দায়িত্বশীল উনারা নিজে স্বার্থ
রক্ষার জন্য একটি সফল সংগঠন যুব জমিয়তকে প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে দে-শ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে জেলা যুব জমিয়ত
সুনামগঞ্জের রাজপথে ছিলো সোচ্চার। ( উকাবে রাসুল সাঃ সম্মেলন – আজমতে সাহাবা সম্মেলন সহ দেশের রাজনৈতিক সংকটে, প্রতিটি কর্মসুচি পালনে যুব জমিয়ত অগ্রনি ভুমিকা পালন করছে।
২-আমাদের বর্তমান জেলা কমিটি বিগত ৬ জুন পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে কাউন্সিল
ও কর্ম সম্মেলনের আয়োজন করে আমাদের
প্রচারনা চলাকালীন সময়ে জেলা জমিয়ত
সহ সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ
ও ত্বাহা হোসাইন সহ একটি বিশেষ মহল কাউন্সিল বানচালের চক্রান্ত শুরু করে।
যার ফলে ৬ তারিখ প্রোগ্রামের দিন জেলা সভাপতি ও সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমাদের বাধ্য করেন কাউন্সিল স্থগিত করতে। এভাবে দু’টি আয়োজনকৃত কাউন্সিল অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে স্থগিত করেন উনারা। আমারা দলের স্বার্থে তাদের অযুক্তিক আদেশ মেনে নিয়ে ছিলাম।
৩-দ্বিতীয় আয়োজনকৃত কাউন্সিল স্থগিত ঘোষণার পর,উনারা জেলা জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশ নগরীকে কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। দলের স্বার্থে তাদের এই সিদ্ধান্তও আমরা মেনে নেই।
৪-জেলা জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হওয়ার পর
আমাদের রানিং জেলা কমিটি দায়িত্বশীলদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ
বা সমন্বয় না করে ছাত্র জমিয়তের একজন দায়িত্বশীল হাফিজ ত্বাহার পরামর্শেই
কাউন্সিলের প্রচারণা করেন।
পরবর্তীতে আমরা যখন উনাকে প্রশ্ন করলাম
কাউন্সিল যুব জমিয়তের ছাত্র জমিয়ত কর্মী ত্বাহাকে কেন এতো অগ্রাধিকার দিচ্ছেন? ৬ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটির দায়িত্বশীলদের সহযোগিতা নিনিন প্রয়োজনে আমাদের আদেশ করেন! আমরা আপনাকে সহযোগিতা করবো তখন তিনি আমাদেরকে বললেন তোমরা আমাকে অহেতুক সন্দেহ করছো। হাফিজ ত্বাহা হোসাইন যুব জমিয়তের কোন এক ইউনিটের সাধারণ সদস্যও না সুতরাং তাঁকে নিয়ে তোমাদের চিন্তা কোন কারণ নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যুব জমিয়তের রানিং দায়িত্বশীল থেকে আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি – সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে
আমার উনার এমন বক্তব্য বিশ্বাস করে
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ – জগন্নাথপুর উপজেলা সহ কয়কটি উপজেলায় সাংগঠনিক সফরে সহযোগিতা করি। ৫-কাউন্সিলের দিন ৬ জুলাই কেন্দ্রীয় মেহমান ও জেলার শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতে তৃনমুল পর্যায়ের কর্মীদের
দাবীতে সিদ্ধান্ত হয়। কাউন্সিল হবে
লিখিত ভোটের মাধ্যমে ভোটার হবেন প্রত্যেক উপজেলা শাখার সভাপতি সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ।আমি আমরা যখন ভোট দিতে গেলাম তখন অবাক হয়ে গেলাম
নির্বাচন কমিশন জেলা সভাপতি তফাজ্জল হক আজিজ সাধারণ সম্পাদক তৈয়্যবুর রহমান চৌধুরীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক আহমদ গংদের কার্যক্রম দেখে হতবাক উনারা ভোট গ্রহন করছেন
মৌখিক ভাবে!! এবং হাফিজ ত্বাহাকে সভাপতি পদে প্রস্তাব করার জন্য রফিক আহমদ উলাশ নগরী ভোটারদের উৎসাহিত করছেন। উনাদের এই অসাংবিধানিক দেখে,
তাদের এই অযুক্তিক ভোট গ্রহণ পদ্ধতিকে
আমরা প্রত্যাখান করে, মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিবকে সভাপতি সালিক আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ও মাওলানা ওয়েস আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে
৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুব জমিয়তের
কমিটি ঘোষণা করি।৬- আমাদের কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তারিখ ছিলো বিগত ৩ জুলাই আমরা পাবলিক লাইব্রেরি হল রুম বুকিং দিয়েছি বৈধভাবে, তখন আমাদের প্রতিপক্ষ কমিটির সভাপতি ত্বাহা হোসাইনও
হল রুম বুকিং না দিয়েই অভিষেকঅনুষ্ঠানের
নামে আরকেটি পোস্ট তার আইডি থেকে পোস্ট করেন।একিই দিনে এক হলে দুটি প্রোগ্রাম দেখে জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন দীর্ঘআলোচনা করেন। এবং দলের স্বার্থে আমাদের কিছু
প্রস্তাব / দাবী উপস্থাপন করার পর। উনারা আমাদেরকে বলেন আমরা তোমাদের দাবী নিয়ে শীর্ষ দায়িত্বশীলদের নিয়ে আলোচনা করবো। আপাতত তোমাদের প্রোগ্রামের প্রচরণা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করো আমরা উনাদের আদেশ পালন করি।
কয়েক ঘন্টা পর জেল জমিয়ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যুবুর রহমান চৌধুরী বলেন। তোমাদের সকল দাবী মানা সম্ভব হবে না! তবে হাফিজ ত্বাহা হোসাইনকে
সভাপতি পদ থেকে বাদ দিয়ে সিনিয়র একজনকে সভাপতি নিযুক্ত করলে চলবে কি? তখন আমরা বলি দলের স্বার্থে আপনাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য। তখন জেলা সম্পাদক বললেন
কালপরশু আমরা তাদেরকে নিয়ে বসবো
প্রয়োজনে তোমাদেরকেও তলব করবো
আমরা অপেক্ষা রইলাম কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেন না? অবশেষে জেলা জমিয়ত সম্পাদক কে বার বার কল দেওয়ার পর কল রিসিভ করে তিনি আমাদরকে বলেন তোমাদের সাথে কোন বৈঠক বা আলোচনার কোন প্রয়োজন নেই। তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো। জেলা জমিয়তের সিনিয়র এই নেতার এমন আচরণে আমদের দিলে মারাত্মক আঘাত করে, পরিশেষে জেলা যুব জমিয়তের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির দায়িত্বশীল সহ তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের আচরণ কথায় কাজে কোন মিল নেই তারা তাদের কাছে দলের চাইতে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই মুল উদ্দেশ্য, এদের সাথে রাজনীতি করে
দেশ জাতির কল্যাণ করা সম্ভব হবে না ।
এজন্যই আমারা আজ শতাধিক নেতা কর্মী পদত্যাগ করছি।




বগুড়া শেরপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল বালক ও বালিকা অনুর্ধ-১৭ উদ্বোধন

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় শেরপুর পৌর শহরের সরকারি ডিজে মডেল হাইস্কুল খেলার মাঠে ৮ জুলাই ২০২৪ রোজ সোমবার বিকেল ৩ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ড কাপ বালক অনুর্ধ ১৭, এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ড কাপ বালিকা অনুর্ধ ১৭ এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ইউএনও সুমন জিহাদীর সভাপতিত্বে উক্ত ফুটবল বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল খেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শেরপুর ধুনটের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু। উক্ত ফুটবল বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ খেলার অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ জামাল সিরাজী, সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার এস এম রেজাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান নুরে আলম সানি, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মোছা শিখা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রউফ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদার্ধ শম্কর সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল বারী ডাবলু, এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানগণ, গণমাধ্যমকর্মীগণ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত ফুটবল বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ খেলায় ১০ টি ইউনিয়নের বালক ও বালিকারা দুটি পৃথকভাবে অংশগ্রহণ করবেন। উক্ত খেলার ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামী শনিবার ১৩ জুলাই ২০২৪।




বানারীপাড়া পৌরসভায় চাকরি পেতে ৪৮ কিংবা ৩৬ বয়স কোন বিষয় নয়!

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় ভোটার তালিকা ও এনআইডি কার্ডে জালিয়াতি করে বয়স কমিয়ে পাম্প চালক পদে শ্যামল শীল ও নৈশ প্রহরী পদে মো. তাজুল ইসলাম নামের দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাজুল ইসলামের বর্তমান বয়স ৪৯ বছর চার মাস ৮ দিন । চাকরিতে যোগদানের সময় (২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর) তার বয়স ছিল ৪৮ বছর ৯ মাস ১৫ দিন। কিন্তু দেখিয়েছেন ৩০ বছর ১১ মাস ২৫ দিন । শ্যামল শীলের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর ২ মাস ৫ দিন। চাকরি নেওয়ার সময় প্রকৃত বয়স ছিল ৩৬ বছর ৬ মাস ২৪ দিন। কিন্তু ৩০ বছর ২ মাস ২৫ দিন দেখিয়েছেন। সরকারি চাকরিতে ১৮-৩০ বয়স সীমা নির্ধারিত থাকলেও জালিয়াতির পরেও তাদের বয়স সঠিক ছিলনা। এছাড়া নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই পদে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবেদনকারী ছিলেন। তাজুল ইসলাম বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামের মৃত আছমত আলী বেপারীর ছেলে এবং শ্যামল শীল একই ইউনিয়নের মাছরং গ্রামের কালাচাঁদ শীলের ছেলে। এদের মধ্যে মো. তাজুল ইসলামের নাম, ঠিকানা ও বাবা-মায়ের নাম একই থাকলেও ভোটার তালিকা ও এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তার তিনবার জন্ম হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটার তালিকা অনুযায়ী মো. তাজুল ইসলামের প্রথম জন্ম তারিখ ১৯৭৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি (ভোটার তালিকার সিরিয়াল নং-০৬০৯৩২৭৮৩২৩৮ ও ভোটারের ক্রমিক নম্বর ১৩১)। দ্বিতীয় ভোটার তালিকায় তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯০ সালের ১ ডিসেম্বর ( ভোটার তালিকার সিরিয়াল নং-০৬০৯৩২০০০৪৩৭ ও ভোটার ক্রমিক নম্বর ৬১৭)। পরে আবারও সংশোধন করে তাজুল ইসলাম তার জন্ম তারিখ দেখিয়েছেন ১৯৯২ সালের ১ ডিসেম্বর (এনআইডি নং-৬৪৬৪৯৬০৯৪৪। একজন মানুষের তিনটি জন্ম তারিখ নিয়ে জনমনে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া শ্যামল শীলের নামেও দুটি এনআইডি কার্ড পাওয়া গেছে। অর্থ্যাৎ তিনিও দুই বার ধরণীতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার প্রথমটির জন্ম তারিখ. ১৯৮৭ সালের ২ মে । এনআইডি নম্বর ১৯২০৫৭৫৪৪৪। তার দ্বিতীয় এনআইডিতে তিনি জন্ম তারিখ দেখিয়েছেন ১৯৯২ সালের ২৯ ডিসেম্বর । তার এনআইডি নম্বর ১৯৮৭০৬১১০১০৭৮৫৩৬৪ ও স্মার্ট কার্ড নম্বর ১৯২০৫৭৫৪৪৪। দুটি এনআইডি কার্ডে তার,বাবা ও মায়ের নাম অভিন্ন থাকলেও ঠিকানা ভিন্ন। প্রথমটিতে ঠিকানা বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের মাছরং গ্রাম ও দ্বিতীয়টিতে বানারীপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরদার বাড়ি রোড দেখিয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বানারীপাড়া পৌরসভায় মো. তাজুল ইসলাম নৈশ প্রহরী পদে ও শ্যামল শীল পানি সরবরাহ শাখার পাম্প চালক পদে চাকরিতে যোগদান করেন । তাজুল ইসলামের ১৯৭৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী প্রথম জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স (২০২৪ সালের ৭ জুলাই) ৪৯ বছর চার মাস ৮ দিন। চাকরিতে যোগদানের সময় (২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর) তার বয়স ছিল ৪৮ বছর ৯ মাস ১৫ দিন। কিন্তু তিনি বয়স জালিয়াতি করে ১৯৯২ সালে ১ ডিসেম্বর অনুযায়ী ৩০ বছর ১১ মাস ২৫ দিন দেখিয়ে ওই পদে চাকরি নেন। শ্যামল শীলের প্রথম জন্ম তারিখ ১৯৮৭ সালের ২ মে। সেই অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স (২০২৪ সালের ৭ জুলাই) ৩৭ বছর ২ মাস ৫ দিন। চাকরি নেওয়ার সময় (২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর) জালিয়াতি করে তিনি জন্ম তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯২ সাল অনুযায়ী বয়স ৩০ বছর ২ মাস ২৫ দিন দেখিয়েছেন। মূলত তখন তার প্রকৃত বয়স ছিল ৩৬ বছর ৬ মাস ২৪ দিন। সরকারি চাকরিতে ১৮-৩০ বয়স সীমা নির্ধারিত থাকলেও জালিয়াতির পরেও তাদের বয়স সঠিক ছিলনা। সম্প্রতি বয়স জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রমান প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ দুটি পদে প্রকৃত যোগ্য আবেদনকারীরা বঞ্চিত হওয়ায় তাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে পৌরসভায় তাদের নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের এ জালিয়াতির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। অপরদিকে একই নিয়োগে পাইপ লাইন মেকানিক পদে পৌরসভার মেয়র তার আপন ভাইয়ের ছেলে অমর শীলকে চাকরি দেওয়া নিয়েও কথা উঠেছে। প্রসঙ্গত,মো.তাজুল ইসলাম বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলের ব্যক্তিগত সিএনজি চালক। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মেয়রের সঙ্গে ব্যক্তিগত এ সুসম্পর্কের সুযোগে তাজুল ইসলাম সিএনজি চালানোর পাশাপাশি নৈশ প্রহরী পদে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। মুঠোফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে পৌরসভার নৈশ প্রহরী মো.তাজুল ইসলাম ও পাম্প চালক শ্যামল শীলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব শাহিন আকতার মন্তব্য করতে অসম্মতি জানান। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন,অভিযোগ পেলে বিষয়টির আইনানুগ বিশ্লেষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




বগুড়া শেরপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রোপ আমনের (উফসী জাত) ফসলের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচী বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের পরিবর্তে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভূয়া কৃষকের নাম ব্যবহার করে সরকারের কৃষি প্রণোদনার উপকরণ (সার ও বীজ) আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বিতরণের জন্য শেরপুর উপজেলায় ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৫ টাকার সার বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বমোট ১ হাজার ৯৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিঘাপ্রতি ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামুল্যে উপজেলা সদর থেকে বিতরণ করার জন্য নির্দেশণা দেয়া হয়। সে মোতাবেক উপজেলা কৃষি অফিস থেকেই কৃষকদের মাঝে এসব বিতরণ করতে দেখা যায়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা অনুযায়ী রোপা আমন (উফসী জাত) ফসল আবাদের সম্ভাবনার নিরিখে উপযুক্ততা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিভাজন অনুযায়ী উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক নির্বাচন করে কৃষকের অগ্রাধিকার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করবেন। উপজেলা কৃষি পুর্নবাসন বাস্তবায়ন কমিটি উক্ত খসড়া তালিকা অনুমোদন করে শতার্বলী অনুযায়ী উপকরণ বিতরণ করবেন। উপকরণ বিতরণে কৃষি কার্ডের উপকরণ সহায়তা অংশে উপকরণ বিতরণের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করে যথারীতি মাষ্টাররোল সংরক্ষণ পুর্বক বিতরণ করবেন। মাষ্টাররোলে উপকরণ গ্রহণকারী কৃষকের স্বাক্ষর ও ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে হবে।
অথচ শেরপুর উপজেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের এসব নিদের্শনার অধিকাংশই মানা হয়নি। কৃষি উপকরণ কার্ড ছাড়াই এবং প্রকৃত কৃষক ছাড়াও ( যারা আবাদের সঙ্গে জড়িত নয়) এমন ব্যক্তিদের নামে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শেরপুর পৌরসভায় ৮০ জন কৃষকের নামে বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কারা এই কৃষক এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা, মাত্র কয়েক বিঘা আবাদী জমি থাকলেও উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী শেরপুর পৌরসভায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হেক্টর।
অভিযোগ উঠেছে, শেরপুর কৃষি অফিসের ভেতরে ও বাইরের একটি চক্র ভূয়া কৃষকের নাম ব্যবহার করে সরকারি প্রনোদনার সার বীজ কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাত করেছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণোদনার বিতরণকৃত তালিকা ডিএইর (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিধান থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা করা হয়নি।
কৃষকের নামে কারা প্রণোদনার সার ও বীজ পেয়েছে এ তথ্য নিতে শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে শেরপুর পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা জিএম মাছুদ জানান, বিভিন্ন জনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ৮০ জন কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু কাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সেই তালিকা দেখাতে কিংবা সার ও বীজ পাওয়া কৃষকের নাম বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কৃষকের তালিকা মাসুদ স্যারের কাছে আছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলমের কাছে কৃষকের বিতরণকৃত তালিকা চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এই তালিকা ওয়েব সাইডে প্রকাশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশ করা হবে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভার দেয়া তালিকা অনুযায়ী কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাইনি।