কুমিল্লা ডিসির মধ্যস্থতায় ইউএনও সাথে ইমাম-মুয়াজ্জিনের সমঝোতা; চাকুরি ফিরে পেল ইমাম

সাইফুল ইসলাম শিশির কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের মধ্যস্থতায় লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফোরকান এলাহি অনুপম ও স্থানীয় ইমাম–মুয়াজ্জিনেট মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সমঝোতা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, এটি নিছক একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি। ইউএনও ইমাম সাহেবকে চাকরিচ্যুত করেননি, এটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি।এ বিষয়ে কুমিল্লার শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের সদস্য শামীম মজুমদার বলেন, ইউএনও সাহেব জেলা প্রশাসকের কাছে ইমাম সাহেবকে পানিতে চুবানোর হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরিচ্যুতির পেছনে তার হাত নেই বলে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় দুই জনের সঙ্গে কথা বলে এটির সুন্দর সমাধান করে দেন। ইউএনও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ইমাম সাহেবও ইউএনও সাহেবকে ক্ষমা করে দেন।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার খুতবা শেষ হওয়ার পর ইমামের পেছনে বসেছিলেন লালমাই উপজেলার ইউএনও। অভিযোগ পাওয়া যায় পরিচয় না জানায় ইকামত দেওয়ার আগে ইউএনও’কে সরে বসতে বলেন ইমাম-মুয়াজ্জিন। তাতে ইউএনও তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। ইমামকে ডেকে নিয়ে তাকে পানিতে চুবানোর কথা বলেন। এরপর ইমাম-মুয়াজ্জিনকে চাকরিচ্যুত করেন পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ।