বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের বিশাল শোভাযাত্রা ও মিছিল

শহিদুল ইসলাম, প্রতিবেদক
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে (১৭ সেপ্টেম্বর ২৪) মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ ও শোভাযাত্রা করছে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা যোগদেন।

অনুষ্ঠানস্থলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন আহবায়ক এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রা ও মিছিল সহকারে যোগদেন।

উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের এম. সানাওয়ার হোসেন, কাজী মহি উদ্দিন বুলবুল, হাজী ওয়ালী উল্লাহ বাবলু, নূর আহমদ, মীর মোশাররফ হোসেন, নূরে আলম মিয়া, আমীর হোসেন, আজিজুল হক দুলাল, কুতুব উদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান। নেতাকর্মীদের তার বক্তব্য দেখাতে সমাবেশস্থল ঘিরে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিজিটাল ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে।

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সামবেশ শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঞ্চালনায় করেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক অন্তর্বর্তীকালীন আহবায়ক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে দমন করতে গিয়ে আমাকে অসংখ্য মিথ্যা মামলা ও জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। শুধু আমি নই দলের ৫২২ জন নেতাকর্মীকে গুম করেছে। খুন করা হয়েছে বিএনপির ১০ হাজার নেতাকর্মী।

তিনি আরো বলেন আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা দল অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ, যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।

সব শেষে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।




শহীদ পরিবার ৫ লাখ, আহতরা পাবে ১ লাখ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রত্যেক পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আহতদের ক্ষতিপূরণের অর্থ যত দ্রুত সম্ভব প্রদান করা হবে এবং ঢাকায় অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় শহীদ পরিবারের হাতে চেক তুলে দেয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বাধীন কমিটি সমাজের সব পর্যায়ের মানুষ, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে অনুদান প্রদানের আহ্বান জানায়।

কমিটি ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য একটি অফিস স্পেস এবং স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এছাড়া সভায় জুলাই-আগস্ট গণজাগরণের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস ও অন্যান্য নথি ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ ও আর্কাইভ করার সিদ্ধান্ত হয়।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সভায় জানান, যেকোন পরিমাণ অনুদানের অর্থ নথিভুক্ত করা উচিত এবং দাতাদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত। এই ফাউন্ডেশন গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একে সফল করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে তা সরকারের চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হবে।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।




রিমান্ডে যুবলীগ নেতা রুবেল ‘বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম’

রাজনীতিতে জড়িয়ে অনুতপ্ত বলে জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে পুলিশকে জানিয়েছেন রাজশাহীর শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা জহিরুল হক রুবেল। পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকা রুবেল জিজ্ঞাসাবাদের বলেন, ‘রাজনীতিতে জড়িয়ে ভুল করেছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম। এখন এমন বিপদে পড়তে হতো না।’ এরপর রুবেল শুধু কান্নাকাটি করছেন।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা রুবেলকে ছাত্র জনতার মিছিলে দুইহাতে পিস্তল নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন। তাদের মধ্যে সেদিন আহত শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজ ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলী রায়হান ৮ আগস্ট মারা যান।

এ বিষয়ে পৃথক মামলায় রুবেলকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।

জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে কুমিল্লা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। রাজশাহী আনার পর তাকে আলী রায়হান হত্যা মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রিমান্ডের চতুর্থ দিনে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হতাশা প্রকাশ করে রুবেল আরও বলেছেন, ‘রাজনীতি করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজশাহীর শীর্ষ নেতারা কেউ এখনও গ্রেপ্তার হননি। তবে তিনি ফেঁসে গেছেন।’

রুবেল দুই হাতে দুই পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলির কথা রিমান্ডের প্রথম দিনই স্বীকার করেছেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতেও রুবেল প্রস্তুত আছেন বলে জানা গেছে।

রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলী রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তাজউদ্দিন এবং সাকিব আনজুম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ছাত্র-জনতার উপর হামলার খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছেন।

এসআই তাজ উদ্দিন বলেন, ‘রুবেল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে অস্ত্র ও অর্থের উৎস এখনও জানা যায়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে সবাই অনুতপ্ত হয়। রুবেলও এখন অনুতপ্ত।’

সাকিব আনজুম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আলী রায়হান হত্যা মামলার রিমান্ড শেষে সন্ত্রাসী রুবেলকে আমিও রিমান্ডে চাইব।’

রাজশাহীর শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেলকে সবাই এক নামে চেনে। সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটোর বন্ধু তিনি। তার মাধ্যমে মেয়র লিটনের ‘ডানহাত’ হিসেবে কাজ করতেন রুবেল।

রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে রুবেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, জমি দখল, অস্ত্র লুট, মাদক পাচার ও বিস্ফোরক আইনে ছয়টি মামলা ছিল। ৫ আগস্টের পর দুটি হত্যাসহ তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। তিনি দুইবার রাসিকের ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

গত বছরের ২১ জুনের নির্বাচনে পরাজিত রুবেল কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে প্রস্রাব করার সিসিটিভি ফুটেজ তখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়।




খাদ্যবান্ধব ডিলার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

ওমর ফারুক :
লাকসামের বাকই দঃ ইউনিয়নের ১.২ও ৪ নং ওয়ার্ডের সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুবিধা ভোগীদের চাউল না দেয়া,চাউলের কার্ড নিয়ে নেয়া এবং জন প্রতি ৫ থেকে ৬ কেজি চাউল কম দেয়ার গুরুতর অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা, গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কার্য্যালয়ে ভুক্তভোগী নারী পুরুষ সশরীরে এসে লিখত এই অভিযোগ দেয়,সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান বৃদ্ধি জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, কিন্তু অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার এই খাদ্য থাবা দিয়ে কেড়ে নিচ্ছে এই অসাধু ডিলার,মানুষ মানুষের জন্য এই বাণী যেন নিবৃত্তে কাঁদছে এখানে, অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ডিলার কামরুল ইসলাম তিনটি ওয়ার্ডে ২৬৩ জন সুবিধাভোগীকে চাউল দেয়ার কথা থাকলেও ৬৩ জনকে চাউল না দিয়ে নকল টিপ সই ও জাল স্বাক্ষর দিয়ে চাউল অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে,এবং জন প্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউল দেয়ার পরিবর্তে কাউকে ২৪ বা ২৫ কেজি দিয়েছে, কেউ প্রতিবাদ করলে সরকার চাউল কম দিয়েছে বলে জানান, এবং মিটার বা পাল্লা দিয়ে চাউল না মেপে বালতি দিয়ে যেনতেন বাবে চাউল দিয়ে সে সটকে পড়ে,এই বিষয়ে টেগ অফিসার খোরশেদ আলম বলেন, আমি তার অনিয়মের অভিযোগ শুনে তাকে নির্দেশ দিয়েছি যারা চাউল পায় নাই তাদেরকে সঠিক বাবে চাউল দেয়ার জন্য, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করবো এবং আইন অনুযায়ী ব্যাবস্হা নিবো,এই বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবু মুছা বলেন,আমি অভিযোগ পেয়েছি নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো,এই বিষয়ে জানতে নির্বাহী অফিসার মো:আবদুল হাই সিদ্দিকীর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি,ভুক্তভোগীরা মিলন মিয়া বলেন, আমার কাছ থেকে ৩০ কেজির চাউলের টাকা নিয়ে ২৪ কেজি চাউল দিয়েছে এবং আমার কার্ড ও নিয়ে গেছে, গাজীপুরের দেলোয়ার বলেন ৩০ কেজির টাকা নিয়ে আমাকে ২৫ কেজি চাউল দিয়েছে এবং কার্ডটি ও নিয়ে গেছে




সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেলো সেনাবাহিনী

সারা দেশে আগামী ২ মাস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এই দায়িত্ব প্রযোজ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পণ করা হল বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৭ (১) ধারা মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত q৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।




গত ১ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য

গত ১ আগস্ট থেকে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ১৩৬ কনস্টেবল কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর পুলিশ সদস্যদের অনুপস্থিতির তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এরমধ্যে ডিআইজি ১ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ জন, পুলিশ সুপার ২ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১ জন, সহকারী পুলিশ সুপার ৫ জন, পুলিশ পরিদর্শক ৫ জন, এসআই ও সার্জেন্ট ১৪ জন, এএসআই ৯ জন, নায়েক ৭ জন এবং কনস্টেবল ১৩৬ জন।

এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও বলেন, ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছুটিতে ৯৬ জন, কর্মস্থলে গরহাজির ৪৯ জন, স্বেচ্ছায় চাকরি ইস্তফা দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৩ জন এবং অন্যান্য কারণে ৩৯ জন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।




লাকসামে সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারকে অনুদান

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধঃ
কুমিল্লার লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সাংবাদিকদের আনন্দঘন এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাকসাম গ্রীণ ভিউ হোটেলের হল রুমে সৌদি আরব মক্কা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোঃ মিজানুর রহমান সুমনের আয়োজনে ও সাংবাদিকদের সম্সানে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও দুস্থ পরিবারকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান সুমনের পক্ষ থেকূ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা সাতঘর গ্রামের আবু ইউসুফের পরিবারকে নগদ ১ লাখ টাকা, মনোহরগঞ্জের খিলা পশ্চিম বাতাবাড়িয়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হোসাইন ও আলমগীরকে ৫০ হাজার শাহরাস্তি উপজেলার শিবপুর গ্রামের কিডনি রোগে আক্রান্ত রবিউল হোসেনকে ১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

মিজানুর রহমান সুমন জানান, এবারের বন্যায় আমরা তিন উপজেলায় পাঁচ শতাধিক সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী টিমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। পাশাপাশি সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সহযোগিতার চেষ্টা করে থাকি। আমাদের কার্যক্রমে যেন কোন ধরনের অনিয়ম সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমি প্রবাস থেকেই সবকিছু মনিটরিং করি। বিগত দিনে বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ তথা কুমিল্লাসহ দেশের সাংবাদিকগণ আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতা ও সুপরামর্শ কামনা করে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় লাকসামে কর্মরত সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস, মুজিবুর রহমান দুলাল, মোঃ মোঃ কামাল উদ্দিন, ফারুক আল সারাহ, মোঃ মনির আহমেদ, আরিফুর রহমান স্বপন, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ আবদুর রহিম, মনোহরগঞ্জের হুমায়ুন কবির মানিক, আবদুর রহিম, আবদুল বাকী মিলনসহ লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




লাকসামে সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে ২৮০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধিঃ
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লাকসামে বন্যাপীড়িত অসহায় ২৮০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

গতকাল দিনব্যাপী উপজেলর উত্তরদা ও কান্দির পাড় আতাকরা, উত্তর পশ্চিমগাঁও, আমুদা, কান্দিরপাড় গ্রামের বন্যাপীড়িত ২৮০টি অসহায় পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

খাদ্য সহায়তা প্রদানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাকসামে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন খবির ও মাহদী। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে সার্বিক সহযোগিতা করেন, ডেইলি প্রেজেন্ট টাইম পত্রিকার কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধি ও লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরা, লাকসাম বই প্রেমী সংগঠনের স্কুল ও কলেজ সম্পাদক সারিয়া চৌধুরী৷

লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন প্রত্যন্ত এলাকার হতদরিদ্র ও বন্যাপীড়িত অসহায় ২৮০ টি পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই খাদ্য সহায়তা প্রদান নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তিনি এমন মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাকসামে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন খবির ও মাহদী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগ প্রতিদিন উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে এবং এ মানবিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।




লাকসামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জশনে জুলুস অনুষ্ঠিহ

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধঃ
১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত লাকসাম উপজেলার উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা (জশনে জুলুস) বের করা হয়েছে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর পশ্চিমগাঁও গাজী সোহেদা ইয়ামেনি (রহ.) দরগাহ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দৌলতগঞ্জ ধান বাজারে মিলাদ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আবেদনগর দরবারের মুফতি আবু তাহের, কান্দিরপাড় দরবারের পীর সাইফুল ইসলাম আল কাদরী, রবিউল ইসলাম হেলালী, ইরুয়াইন দরবারের নুরুল ইসলাম জেহাদি, ডাক্তার মাসুদুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদসহ বিভিন্ন দরবারের শত শত ভক্ত মুরিদান।
মোনাজাত পরিচালনা করেন, বারাকাতবাগ দরবারের পীর মাওলানা আব্দুল করিম।




দেশ পুনর্গঠন ও লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশ পুনর্গঠন, সংস্কার এবং লুণ্ঠিত সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর ) সকালে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতা চান।

ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে আছেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। তার সঙ্গে আছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, সংস্কার এবং সবকিছু নতুন করে শুরু করতে’ এবং আর্থিক খাত, বিচার বিভাগ, পুলিশবাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংস্কারে প্রশাসন দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের উল্লেখ করেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের রূপরেখা বর্ণনা করেন। ড. ইউনূস বলেন, ‘ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দুর্নীতিদমন সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, তার সরকার স্বৈরাচারী আমলের দুর্নীতিবাজদের লুণ্ঠিত ও পাচারকৃত সম্পদ ফেরত পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।’

সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানায়, ওয়াশিংটন এসব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম সমস্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও ছিলেন সহকারী মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের পরিচালক জেরোড ম্যাসন।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।