মোঃ শাকিল আহমেদ, বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বিষখালী নদীতে জেগে উঠা বরগুনার বামনা উপজেলার ম্যাপভুক্ত রুহিতার চর বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি, কালিকাবাড়ি ও বলইবুনিয়া এলাকার প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত চক্রের আগ্রাসনে থেকে রক্ষার দাবীতে বামনা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বামনা উপজেলা শহরে স্মৃতি সৌধ গোলচত্ত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারে মাধ্যমে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বামনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান(মামুন), রুহিতা চর এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত কৃষক মোঃ জহিরুল হক, লিটন হাওলাদার, হাবিবুর রহমান কাজী প্রমূখ।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, গত ৫ জুলাই দুর্বৃত্তরা প্রায় পাঁচ একর জমির উঠতি ফসল কেটে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে এবং পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার ফাঁদ লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া ১১ জুলাই খালের বাঁধ কেটে দিয়ে ধানের বীজ নষ্ট করা হয়। সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে ২৯ জুলাই, যখন ২৩ জন কৃষকের ১০৯টি মহিষ লুট করা হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা। পরবর্তীতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় মহিষগুলো ফেরত আনা সম্ভব হলেও, চরের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।
চাষিরা জানান, বেতাগীর ভূমিদস্যুরা ইতোমধ্যেই চরে নতুন টিনশেড ঘর তৈরি করেছে এবং আরও ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি সরকারি খাস জমিতে খাল কেটে চরের সীমানা বিভাজনের অপচেষ্টাও চালানো হচ্ছে। রুহিতার চরে গেলে বামনার কৃষকদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এই প্রেক্ষিতে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। তারা অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, চরের শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং চাষিদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। কৃষকদের মতে, রুহিতার চর বামনা উপজেলার ম্যাপভুক্ত হওয়ায় এর ওপর বেতাগী উপজেলার কোনো দাবির আইনি ভিত্তি নেই। সকলের প্রত্যাশা, চরের শান্তি ও কৃষকের নিরাপত্তা দ্রুত নিশ্চিত করা হোক।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরা কর্তৃক সম্পাদিত৷ https://www.dhurbar.com, ০১৯৭১-১০১৪২৯
Copyright © 2025 . All rights reserved.