মিন্টু ইসলাম বগুড়া প্রতিনিধি: গত ২২ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ বগুড়া জেলার ধনুট থানার চাঁন্দারপাড়া গ্রামস্থ মোছাঃ রওশন আরা(৫৮), স্বামী-মৃত আব্দুল লতিফ এর বসতঘর হতে দূর্গন্ধ বের হলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি থানা‘কে অবহিত করে। থানা পুলিশ উক্ত বাড়ীর বসত ঘরের কাঁচা মেঝে খনন করে ভিকটিম মর্জিনা খাতুন (৩৫) এর মৃতদেহটি মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে। থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঐ সময় ভিকটিম মর্জিনার মাতা মোছাঃ রওশন আরা, ভিকটিমের ছেলে মোঃ রাব্বী, ছেলের বউ মোছাঃ নুপুর‘কে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে তারা ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীতে আসেনি। পরবর্তীতে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে ধুনট পৌরসভার মেয়র জনাব এ.জি.এম বাদশা (৫৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করলে ধুনট থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৩ জুলাই, ২০২৩ খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ধরণের ক্লুলেস হত্যার পর থেকেই র্যাব অজ্ঞাতনামা আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে অদ্য ২৯ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকায় র্যাব সদর দপ্তর (ইন্ট উইং), ঢাকা এর সহযোগিতায় র্যাব-১২, সিপিসি-৩, বগুড়া ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, নবীনগর ক্যাম্প, সাভার এর যৌথ অভিযানে মর্জিনা খাতুন ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামী ১। মোঃ রাব্বী (২২), পিতা-আসাদুল শেখ, মাতা-মৃত মর্জিনা, ২। মোছাঃ নুপুর (২০), স্বামী-রাব্বী, পিতা-নান্নু, উভয় সাং-চান্দারপাড়া, থানা-ধুনট, জেলা-বগুড়া, বর্তমান সাং-উত্তর কাঠগড়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকাদ্বয়‘কে আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে বগুড়া র্যাব স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম জানান গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানা, বগুড়ায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরা কর্তৃক সম্পাদিত৷ https://www.dhurbar.com, ০১৯৭১-১০১৪২৯
Copyright © 2025 . All rights reserved.