মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে মাদক ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হলেন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. আবু রায়হান জন (৩৯)। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে পৌর শহরের সকাল বাজার ঘোষপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে তাকে শেরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আবু রায়হান জন মৃত আল রাফি জুয়েলের ছেলে। এছাড়াও আরেক বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর কলোনি এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী রকিবুল আমিন লাবু (৩৪), কে ৭ই আগস্ট রাত্রি অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে মহিপুর স্কুল মাঠ এলাকা হতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন রুহুল আমিন ফটক তরফদারের ছেলে। পুলিশ জানায় শেরপুর থানার বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সে এজাহার নামীয় ৬৭ নম্বর আসামি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে উপজেলা মডেল স্কুলের পিয়ন।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেদিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা মিছিলে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আহত করেন। ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ও বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়, যার ফলে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির শেরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে শেরপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি আরও বহু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।এব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুদ্দিন বলেন, ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডলসহ আবু রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। আজ তাদের ২জনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরা কর্তৃক সম্পাদিত৷ https://www.dhurbar.com, ০১৯৭১-১০১৪২৯
Copyright © 2025 . All rights reserved.