কুমিল্লা দঃ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের মামলায় অন্যতম দুই আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২ টায় নগরীর সংরাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম৷ নিহতরা হলেন, হত্যা মামলায় এজহার নামীয় ৩নং আসামী সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮), ৫নং আসামী সংরাইশ এলাকার কাকন (চোরা কাকন) মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)। ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামি সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা সংরাইশ এবং নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামীদের গ্রেফতারের জন্যে অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উক্ত ব্যক্তিদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। সরকারি কাজে বাঁধা, হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। তারা কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ ও নিহত কাউন্সিলর সোহেলের পরিবার সহ স্থানীয় অনেকে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরা কর্তৃক সম্পাদিত৷ https://www.dhurbar.com, ০১৯৭১-১০১৪২৯
Copyright © 2025 . All rights reserved.